সালেহ্ বিপ্লব: [২] শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভূমিধ্বস জয়লাভ করে। মহাজোট সরকার গঠন করে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি। এরপর টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ড গড়েন শেখ হাসিনা। চার মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ডও সৃষ্টি হয়।

[৩] নিবন্ধকার মিতি সানজানা বলছেন, টানা ১৩ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন শেখ হাসিনা। দেশের নারীদের উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

[৪] সুপ্রিম কোর্টের একজন এডভোকেট হিসেবে নিজের পথচলার উল্লেখ করে মিনি সানজানা বলেন, এদেশে নারীর চলার পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়। নারীরা সংসারে সহিংসতার শিকার, প্রায়শই তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি বৈষম্য হয়, ক্যারিয়ার গঠনের ক্ষেত্রে নারীর জন্য সুযোগ সীমিত। 

[৫] নিবন্ধকার বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নারীরা দেশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তারা বিভিন্ন খাতে অগ্রগতি করেছেন। বাংলাদেশ খুব অল্প কয়েকটি দেশের অন্যতম, যেখানে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা নারী। মন্ত্রিসভা ও সংসদে রয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী। শেখ হাসিনার অন্যতম উল্লেখযোগ সাফল্য নারীর ক্ষমতায়ন। প্রথম বারের মতো প্রশাসনের উচ্চপদে এসেছেন এতো বেশি সংখ্যক নারী। 

[৬] লিঙ্গ সমতা ও উন্নয়নের বাংলাদেশ ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। শেখ হাসিনার সরকার নারীবান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন করায় সামাজিক ও আইনগত দিক দিয়ে নারীর অবস্থানে মৌলিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। 

[৭] বাংলাদেশের পরিবারগুলোতে পুরুষরা নানাভাবে নারীর ওপর কর্তৃত্ব করে। নারীর স্বাধীনতা, অবাধ চলাচল, শিক্ষালাভ ও কর্মসংস্থানের মতো বিষয়গুলোতে নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। 

[৮] শেখ হাসিনা বিশে^ অন্যতম, যিনি এসব চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ হয়েছেন। নারীমুক্তির অগ্রপথিক হিসেবে তিনি বাংলাদেশের নারীদের জাগিয়ে তোলেন। নারীর ক্ষমতায়নের নেওয়া কর্মসূচি এবং আইনকানুন বাংলাদেশের নারীদের জীবনমান উন্নয়নের ভূমিকা রেখেছে। 

[৯] নিবন্ধকার এক্ষেত্রে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও শিক্ষার প্রসারে শেখ হাসিনার বিশেষ অবদানের কথা উল্লেখ করেন। 

[১০] নিবন্ধে বলা হয়, শেখ হাসিনা নারী উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি আলো হয়ে পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন হাজারো নারীকে। সম্পাদনা: এল আর বাদল